বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ১৯ আসামিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, গ্রেপ্তারের পর তিন দফায় তাদের এখানে পাঠানো হয়। সর্বশেষ সোমবার অমিত সাহাসহ তিনজনকে এ কারাগারে আনা হয়।
বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারের পর তাদের ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে রাখা হেয়ছিল। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে গাজীপুরের এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে আবরার মারা যান।
আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের বেশির ভাগই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত কয়েকজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে আবরারকে কিভাবে ক্রিকেট স্ট্যাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, তার বিবরণ উঠে এসেছে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার জবানবন্দিতে।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন এখনও পলাতক। তারা হলেন- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মাহমুদুল জিসান, কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বী তানিম এবং যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ।
সূত্র, বিডিনিউজ২৪.কম